Home ময়মনসিংহ মুক্তাগাছায় অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা

মুক্তাগাছায় অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা

3

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি : মুদির দোকানে ৩৫০ টাকা বাকির তুচ্ছ ঘটনায় ফাহিম নামে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সজিবসহ ১২ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার শিবপুর গ্রামে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) দুপুরে ফাহিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় যুবক ফাহিমের বাড়িতে শোকের মাতম বইছে।

এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বোর্ডঘর মোড় এলকার বাসিন্দা মজনু মিয়ার ছেলের রাসেলের কাছে একই এলাকার মুদির দোকানদার রাসেল ৩৫০ টাকা বাকি পেত। এ ঘটনায় মজনু মিয়ার ছেলে রাসেল ও তার ভাতিজা অটোরিকশা চালক ফাহিমের কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে সোমবার দুপুরে মানকোন বোর্ডঘর মোড়ে মুদির দোকানদার রাসেলের পক্ষ হয়ে মানকোন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সজিব মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক একত্রিত হয়। পরে সেখানে ফাহিমকে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়। পরে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে স’মিলের কাঠ দিয়ে ফাহিমকে এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। তাকে ফেরাতে গেলে তার চাচা মজনু মিয়া, দাদী ফিরোজা খাতুন, বোন ফারজানা খাতুন, চাচাতো ভাই ইয়াছিন গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর মঙ্গলবার দুপুরে ফাহিমের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহত ফাহিমের মা রুবি আক্তার বাদি হয়ে মুক্তাগাছা থানায় ছাত্রদল নেতা সজিব মিয়াকে এক নম্বর আসামী করে ১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম নয় মাসের শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে বলেন, আমার এই শিশু সন্তান তার বাবার জন্য পাগল। বাবাকে না দেখলে সে কান্না করে। এখন কে তার কান্না থামাবে। কে তাকে দুধ কিনে দিবে। আমার এই সন্তানের ভবিষ্যত কি। আমার স্বামীকে বিনা দোষে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি তার খুনিদের ফাঁসি চাই।

মুক্তাগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মঞ্জুরুল হক আরিফ এ বিষয়ে গনমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে তাকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ওসি রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, দোকানের বাকি নিয়ে ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক ফাহিমের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here