
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বুধবারের মধ্যে আবাসিক হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; পাশাপাশি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কোনো শাস্তির আওতায় আনা হবে না। তবে একক সমন্বিত (কম্বাইন্ড) ডিগ্রির বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে দিবাগত রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত কৃষি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে চলে এই আলোচনা। এতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হক, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোনিয়া সেহেলী, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আকতারুজ্জামান, আন্দোলনকে ঘিরে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।
আলোচনা শেষে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হক বলেন, ‘আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে সিন্ডিকেট সভা ডেকে হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করা হবে। পাশাপাশি আমরা আশা করছি যে আগামী সাত দিনের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ সময় সমন্বিত ডিগ্রির বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের আগের তিন ডিগ্রির সিদ্ধান্তই বলবৎ আছে। এটি নিয়ে সামনে আরও আলোচনা করা হবে। তদন্ত কমিটির নোটিশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের ব্যাপারে কোনো কথা উল্লেখ না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের বিষয়টি উল্লেখ না থাকলেও সেখানে যা যা ঘটেছিল, সব ঘটনার তদন্তই করা হবে।’
আরেক শিক্ষার্থী শিবলী সাদী বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আন্দোলনকারীদের একাডেমিক বা হলভিত্তিক কোনো বিষয়ে শাস্তি দিয়ে হয়রানি করা হবে না। এ বিষয়ে আগামীকাল তিনি লিখিত বক্তব্য দেবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন।’
সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে গত রোববার উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি সোমবার সকালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল খালি করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হল না ছেড়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।