সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শহিদুল হক
দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের আলোচনার পর বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিন্ডিকেট সভা ডেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ১১টায়। এরপরে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শহিদুল হক।
ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা আরও জানান, বহিরাগতদের হামলায় শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদকে একীভূত করে কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু হওয়ায় শিক্ষার্থীরাও খুশি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আমাদের স্যারদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় আমরা খুশি। আমাদের এক দফা দাবি কম্বাইন্ড ডিগ্রি, সেটি নিয়ে পরবর্তী সময়ে আলোচনা হবে– এমনটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার থেকে আমাদের আর কোনও আন্দোলন কর্মসূচি থাকবে না।’
উল্লেখ্য, পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদ একীভূত করে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে গেল এক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ আগস্ট রাতে বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।