(ময়মনসিংহ সিটির আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কারিতাস মোড় পর্যন্ত সড়ক সংস্কারকাজে ধীরগতিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের।)
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বলাশপুরকে। কিন্তু এ এলাকার সড়ক ও ড্রেন সংস্কার না করায় দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। গত বছরের প্রথম দিকে আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কারিতাস মোড় পর্যন্ত ৭২০ মিটার সড়ক উন্নয়নকাজ শুরু হয়। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পালিয়ে যান ঠিকাদার। এতে আরও বাড়ে ভোগান্তি। এ নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার শুরু করে সিটি করপোরেশন। কিন্তু কাজে ধীরগতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘রাস্তাটির কাজ না হওয়ায় আমরা দুই বছর ধরে ভোগান্তিতে রয়েছি। সিটি করপোরেশন সম্প্রতি কাজ শুরু করলেও ধীরগতির কারণে ভোগান্তি বেড়েছে। আর যেভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়বে। রাস্তায় ফেলা বালু ড্রেনে যাচ্ছে। সেই বালু ঠেকাতে নিজে দুটি স্ল্যাব তৈরি করেছি।’
ঠিকাদার মাহমুদুল হাসান খান মারুফ বলেন, ‘এস্টিমেট অনুযায়ী বালু ফিলিং, সাবব্যাজ এবং ম্যানহোল রাইজআপ করার কথা। দুই মাস ধরে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে বারবার স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ছি। তাই শেষ করতে পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয়রা না জেনে গাইডওয়াল করে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন, কিন্তু বরাদ্দ না থাকলে আমি কীভাবে তা করব। তবে আশা রাখছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে দেব।’
এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সেখানকার জনগণ রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্যই জরুরি ভিত্তিক কাজটি সম্পন্ন করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। এখানে তাদের ধীরগতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গণমাধ্যমকর্মী খোকন আহমেদের বাসা বলাশপুর এলাকায়। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদার রাস্তাটির আংশিক কাজ করে পালিয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের। এখন নতুন প্রশাসক এসে কাজ শুরু করলেও তা দায়সারাভাবে চলছে। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এতে শুধু অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই হচ্ছে না।’