বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, শহীদের রক্তের বিনিময়ে বিজয় অর্জিত হয়েছে। কারও অপকর্মের কারণে ম্লান হোক তা আমরা কখনোই হতে দেব না। দলের নামে কেউ অপকর্ম করলে কোনো ছাড় দিচ্ছে না বিএনপি।
শনিবার (১২ জুলাই) রাত ৮টার ময়মনসিংহ নগরের দিঘারকান্দা বাইপাস এলাকায় দলের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দেওয়ার যে প্রচেষ্টায় আমরা আছি তাতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কেউ কেউ ভাবছে, বিলম্বে ভোট হলে তাদের একটু সুবিধা পাওয়ার সুযোগ আছে। এরকম মানসিকতা নিয়ে নির্বাচনের পথে তারা নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করছে। আমাদের কথা স্পষ্ট, সংস্কার চলবে। যেগুলো জরুরি ইলেকশনের আগে সেগুলো করে দেশে একটি নির্বাচন দেওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে থেকে দুঃসময়ে বিএনপির জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছে তারা কোনো ভুল করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তাদের কোনো ধরনের ন্যূনতম সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা যে কী ভাষায় ধিক্কার জানাব, জানি না। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আরও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হলে সবই আমরা নেব। এ ব্যাপারে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। এ ব্যাপারে আমাদের দল জিরো টলারেন্স।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সংস্কার এক দিন, দুদিনের ব্যাপার না। একটি দেশ চলে সংস্কারের ওপর দিয়ে। যে সংস্কার এখন জনতার দাবি, সে সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আগামীতে জনগণের যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, সে সরকার সংস্কারগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের কাছে কেন জানি মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে, কেউ কেউ সংস্কারের ধুয়া তুলে জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে।
সোহেল বলেন, ইন্টেরিম সরকারের সময় দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসে না। দেশের ভেতরের ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগ করেন না। ফলে দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতা এসে যায়। সুতরাং যত দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে দেশের অর্থনীতিতে গতি আসবে। দেশে দ্রুত একটি জনগণের নির্বাচিত সরকার দরকার। সে জন্য বিএনপি বলছে, দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. রোকনুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার প্রমুখ।