নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ শুধু বাঙালির নয়, বৈধভাবে বসবাসকারী সকল জাতিগোষ্ঠীর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, পাহাড় বা সমতলে সবার অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিএনপিতে সব কমিটিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সব জাতিগোষ্ঠী নিয়ে অর্ন্তভুক্তিমূলক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর।
বিএনপি বিশ্বাস করে বাংলাদেশ শুধু বাঙালির নয় বরং বৈধভাবে বসবাসকারী সকল জাতিগোষ্ঠীর। সকল জাতিগোষ্ঠী নিয়ে অন্তবর্তীমূলক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর। পাহাড় বা সমতলে সবার অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিএনপির সকল কমিটিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কীভাবে সহজ করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করবে।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপদ বাংলাদেশ নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সহযোগিতা চায়। পাহাড়ি-সমতলের উন্নয়নে ৩১ দফা রূপরেখা দেয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪ টায় দিকে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময় আদিবাসী দলীয় নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানান শিল্পীরা।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ময়মনসিংহসহ দেশের সমতলে থাকা ১২টি জেলার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি যোগ দেন এই জাতীয় সমাবেশে।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক। এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সদস্যেরা। দেশের ১২টি জেলা থেকে গারো, হাজং, বানাই, বর্মণ, কোচ, হদি সম্প্রদায়, ত্রিপুরাসহ ১৮টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেয়।
প্রথমবারের মতো জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের জাতীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হলেও এর আনুষ্ঠানিক পথচলা ২০০৭ সাল থেকে। পরে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এটিকে স্বীকৃতি ও অনুমোদন দেয় বিএনপি।
এর আগে বেলা ৩ টার দিকে মির্জা ফখরুল অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে নিজেদের ঐতিহ্য মেনে তাঁকে বরণ করেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যেরা। এরপর মঞ্চে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। শুরুতেই বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের পাঠ শেষে শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত ও বিএনপির দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা।
সমাবেশকে ঘিরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। বিএনপি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতারা জানান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় বিএনপি সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।