বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, তারেক রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি। তার হাত ধরেই বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করবে। দেশের মালিকানা জনগণের হাতে তুলে দেবে। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্টরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করেই বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর। এটা বিএনপির ইমানী দায়িত্ব। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই দায়িত্ব পালনে বিএনপি পিছু হটবে না। এ জন্য আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করে তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও সমাজ বিরোধীদের ঠাঁই বিএনপিতে হবে না।
বুধবার (৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের মাদরাসা ময়দানে উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত র্যালীপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, বিএনপি এবং জিয়া পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর তারেক রহমানের দু’চোখ ভরা স্বপ্ন এবং দৃষ্টিজুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন, কর্মসংস্থান, উন্নত ও নিরাপদ জীবন, গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত করাই তাঁর লক্ষ্য। আগামীদিনে বিএনপির জনগণের রায়ে সরকার গঠন করলে বেগম খালেদা জিয়ার দোয়া এবং পরামর্শে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করে বৈষমহীন অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠন করা হবে।
আরও বলেন, আমরা শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের রাজনীতি করি। তাদের রাজনীতি হচ্ছে দেশ, জাতি ও জনকল্যাণে নিবেদিত। জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের চেতনায় উদ্ভাসিত। আর সে কারণেই আমরা জীবনকে তুচ্ছ করে দমন, নিপিড়ন, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে ফ্যসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে বুক চিতিয়ে লড়াই করতে পারি। অমরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন নয়, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করি। এজন্যই জনগণ বিএনপিকে হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান দিয়েছে। এটি বার বার প্রমাণিত।
প্রিন্স বলেন, সময়ের পরীক্ষায় বিএনপি উত্তীর্ণ। বিগত ৪৭ বছরে বহু ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে বিএনপি দেশপ্রেম ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনকল্যাণে কাজ করেছে। দেশ ও জনগণের শত্রুরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষককে হত্যা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ওপর নির্মম নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। কিন্তু বিএনপি বার বার ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
এদিকে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে সমাবেশ শেষে একটি বিশাল র্যালী পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে। এতে রঙ বেরঙের পতাকা হাতে শত শত মহিলা, গারো জাতিগোষ্ঠী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষের উপস্থিতি ভিন্ন আবহের সৃষ্টি করে।