ময়মনসিংহে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬ টাকা

4

ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে ধরনভেদে বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়েও। কেজিতে ছয় টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে নগরীর মেছুয়া বাজারের হেজবুল্লাহ রোডে চালের পাইকারি ও খুচরা মোকাম ঘুরে জানা যায়, ধরনভেদে চালের বস্তাপ্রতি সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। ক্রেতা আসছেন, দামাদামি করছেন। কিন্তু দাম কমাতে নাছোড়বান্দা ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। ফলে বাধ্য হয়ে বিক্রেতাদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন ক্রেতারা।

ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, চালের মহাজনরা ইচ্ছা মত দাম বাড়াচ্ছে, অনেকের কাছে আগের চাল মজুদ আছে। তবুও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে বাজারে প্রভাব পড়েছে। গত সপ্তাহে ২৫ কেজি ওজনের কাটারি চালের বস্তা এক হাজার ৮৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দুই হাজার ও ২৮ কিংবা ২৯ চালের বস্তা এক হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

২৫ কেজি ওজনের এক বস্তা কাটারি চাল কিনতে আসেন নজরুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে চালের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। প্রত্যেক মোকাম চালে ঠাসা। অথচ হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে। এতে আমরা (ক্রেতারা) ক্ষুব্ধ হলেও যতসামান্য দামও কমানো হচ্ছে না।

আব্দুল হাই নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আট কেজি চাল কিনেছি। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৬ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। মনে হচ্ছে, বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। বাজারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযান চালালে দাম কমার সম্ভবনা রয়েছে।

দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে পাইকারি বিক্রেতা মো. মাহফুজ বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ। তাই কাটারি এবং নাজিরশাইল চালের বাজার অস্থির। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ছয় টাকা বেড়েছে ২৮ ও ২৯ চালের দাম।

কৃষকরা ধান বিক্রি শেষ করেছেন। তবে অনেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে মজুদ করেছিলেন। তারা এখন মোটা ধান এক হাজার ২৩০ ও চিকন ধান এক হাজার ৩৩০ টাকা মণ হিসেবে চাল কল মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন। এর প্রভাব চালের বাজারে পড়েছে। এছাড়া বড় মহাজনরা নিজেদের ইচ্ছা মত দাম বাড়াচ্ছে, এতেও বাজারে চালের দাম বাড়ছে’ বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ হচ্ছে। চালের বাজারে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের ঠকানোর প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়র হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here