ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ২৬শে জুন ময়শিবো’র সকল কর্মচারীবৃন্দ সিনিয়র সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের লেতেরকান্দা গ্রামে। জানা যায়, রফিকুল ইসলাম বিদ্যালয় কমিটি, নবায়ন ও স্বীকৃতির অনুমোদন দিতে বিলম্বিত, নতুন প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের নামে বিশাল অংকের টাকা আদায় করেন। জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতি এখন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিব পরিবর্তন হলেও একাধিক কর্মকর্তা ক্ষমতার দাপটে একই কর্মস্থলে আছেন। দুর্নীতির টাকায় কেনা রয়েছে তার একাধিক গাড়ি, কলেজ রোড জাহানারা টাওয়ারে ৫ম তলায় একটি ফ্ল্যাট, শ্যামচারণ রোডে নৈসর্গিক টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়াও পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নামে-বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পত্তি। একটি গাড়ি বোর্ডের কাছে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমোদন ও একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম না প্রকাশে এক নন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বলেন, নতুন প্রতিষ্ঠান করতে হলে সকল কাগজপত্র জমা দিলে অনুমোদনের জন্য বিদ্যালয় পরিদর্শককে ৩-৪ চার লাখ টাকা দিতে হয়। প্রশ্ন উঠেছে বোর্ডের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। তবে রফিকুল ইসলাম সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমার শুধুমাত্র একটি ফ্ল্যাট ও একটি গাড়ি আছে। রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পরিদর্শন বা অনুমোদনের জন্য টাকা-পয়সা নেই না। আমার নৈস্বর্গ টাওয়ারে শুধু একটি ফ্ল্যাট আছে। বোর্ডে ১০টি গাড়ি ভাড়ায় চলে। আমার গাড়িটিও ভাড়া দেই। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. শহিদুল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমি ব্যবস্থা নেবো।