
ধোবাউড়া প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার কংশ নদের তীরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কাপাশিয়া দাখিল মাদরাসা ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ৬৮ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি এখনো স্থায়ী একাডেমিক ভবন থেকে বঞ্চিত।
বর্তমানে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী টিনশেড ঘরে পাঠ গ্রহণ করছেন। বর্ষাকালে ঘরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে, ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
মাদরাসার সুপার হাফেজ মাওলানা দৌলত আলী বলেন, বর্ষাকালে টিনশেড ঘরে ক্লাস করা অত্যন্ত কষ্টকর। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও মানসম্মত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল কবীর জানান, দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক ভবন না থাকায় শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্ষাকালে মাঠে জলাবদ্ধতা ও সীমিত স্যানিটেশন ব্যবস্থার কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রভাবিত হচ্ছে। আশা করি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুক বলেন, টিনশেড ঘরে পাঠদান শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও শেখার মানে সরাসরি প্রভাব ফেলে। বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা, অপ্রতুল স্যানিটেশন ও ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করছে। স্থায়ী একাডেমিক ভবন ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীও জানিয়েছেন, কাপাশিয়া দাখিল মাদরাসা শুধু ধর্মীয় শিক্ষার কেন্দ্র নয়, সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তারা আশা করেন, মাদরাসায় স্থায়ী একাডেমিক ভবন ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হোক, বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা দূর করা হোক এবং নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী এক কণ্ঠে বলছেন, এটি শুধুমাত্র একটি ভবনের দাবি নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা ও নিরাপত্তার দাবি।